নিজস্ব প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মৃত্যুর পাঁচমাস পর
একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলায় সাংবাদিক মো. আলাউদ্দিনসহ ১৮জনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করার প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।চৌমুহনী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকালের খবর এর বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আলাউদ্দিনসহ
১৮জনকে আসামী করে মৃত্যুর পাঁচ মাস পরে
একটি হত্যা মামলায় করেছে মোফাশ্বেরা বেগম এলাকাবাসী জানান,বাদীনি মোফাশ্বেরা বেগমের ছেলে মোসলে উদ্দিন হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন।
মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এবং সাংবাদিকসহ ১৮জনকে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
০১নং আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কয়েকশ নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবক এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এই মোফাশ্বেরা বেগম।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মামলার ৩নং সাক্ষী আরতি বেগম, তিনি বলেন, এই মিথ্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে আমার নাম দেওয়া হয়েছে, তা আমি জানিনা।মোসলে উদ্দিন স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা আমি লোক মুখে শুনেছি এবং মামলার বিষয়েও আমি অবগত নহি।
মামলার ৮নং সাক্ষী তার বক্তব্যে বলেন যে, ১ জুলাই রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় হঠাৎ ভিকটিম মোসলেউদ্দিন তার বাড়ী থেকে আমাকে মোবাইলে কল করে বলে যে, তার বুকে প্রচন্ড ব্যথা করতেছে, তাকে সিএনজি করে ন্যাশনাল হাসপাতালে পৌছে দিতে।আমি তাৎক্ষনিক আমার সিএনজি নিয়ে তাকে ন্যাশনাল হসপিটালে নিই।
সেখানে কতর্ব্যরত ডাক্তার তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এর পর মোসলেউদ্দিনের ভগ্নীপতি তৈয়ব আলীতাকে নিয়ে চৌরাস্তা প্রাইম হসপিটালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান যে, উক্ত ঘটনার ৫ মাস পর গত ২৫ নভেম্বর নোয়াখালী বিজ্ঞ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে সাংবাদিক মো. আলাউদ্দিনসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মোফাশ্বোরা বেগম ছেলে মোসলে
উদ্দিনকে হত্যা করেছে বলে একটি সি. আর মামলা করেন যা সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমুলক ও মিথ্যাঅবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য এলাকাবাসী দাবী করেন।
মামলার বাদী মোফাশ্বেরা বেগমের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কলকরা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।