বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি তেজগাঁও কলেজে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে অধ্যক্ষ ড. হারুন-অর-রশিদ কলেজে আসেন না, ১২ আগস্ট উপধ্যক্ষ আনজুমান আরা কলেজে আসেন, কিন্তু বৈষম্যবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন।
এই অবস্থায় কিছু আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে নিজেদের অনুগত কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে গত ১৫ বছর কলেজে সুবিধাভোগী কিছু আওয়াপন্থী শিক্ষকদের অধ্যক্ষ ও উপধ্যক্ষ পদের জন্য দাবি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদের আস্থাভাজন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর আমিনুল হক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক এরশাদুল ইসলাম সৈকত, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
টুরিজম ও হসপিটালিটি বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান আজিজুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক খোরশেদ আলম বাপ্পীসহ অনেকে যারা গত ১৫ বছর ধরে কলেজে উন্নয়ন কমিটি, চাকরি পরীক্ষা ও নিয়োগ বাণিজ্যের জড়িত। আমিনুল হক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কলেজে অধ্যক্ষ আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করছেন, তিনি একাধারে অভ্যন্তরীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, কলেজের আইটি বিভাগ, সিইডিপি প্রজেক্টসহ কলেজে যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজের কমিটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।
এই প্রত্যেকটি বিভাগে দুনীতি বিস্তর অভিযোগ। তাছাড়া নিজ ক্ষমতাবলে সহোদর এক ভাইকে কলেজের শিক্ষক বানিয়েছেন এবং আরেক ভাইকে শিক্ষার্থীদের বেতন সংগ্রহের অ্যাপসে রকেটে সহযোগী বানিয়েছেন।
অন্যদিকে জনাব এরশাদুল ইসলাম সৈকত, যিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যক্ষের একান্ত ইচ্ছা ও সিলেকশনে, যদিও কমিটির মেয়াদ পার হয়ে গেছে। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ হলো কলেজের টাকা আত্মসাত, নিয়োগে প্রভাব খাটানো এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভিন্নমতের শিক্ষকদের প্রমোশন আটকানো ইত্যাদি। আর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তো বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে দাড়িয়ে কলেজে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে দেন নাই। যে সকল শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, তাদের লিস্ট অধ্যক্ষের কাছে পাঠাতেন। তার বিরোদ্ধে বড় অভিযোগ হলো কলেজে ভিন্নমতের শিক্ষকদের নামে বেনামে নালিশ করা এবং অপমান ও অপদস্ত করা,
তাছাড়া উন্নয়ন কমিটির নামে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ রয়েছে। জনাব আজিজুর রহমান অধ্যক্ষের সরিষাবাড়ি জোনের বিশস্ত লোক। প্রভাষক হয়েও হোটেল এন্ড টুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। অধ্যক্ষের দুনীতির অন্যতম সহযোগী হিসেবে কলেজে পরিচিত। যার এক চাওয়াতেই কলেজে লাখ লাখ টাকা অনুমোদন হয়ে যায়।
তাছাড়া, খোরশেদ আলম বাপ্পীসহ অনেকের বিরুদ্ধে কলেজের টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। যারা কলেজে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাশেদুজ্জামান লিটু এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলে বর্তমানে আওয়ামী শিক্ষকদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে উসকে দিয়ে নিজেকে উপাধক্ষ পদ বাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন, আর এতে সহায়তা করছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা। লিটু বুয়েটের সানী হত্যার মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে, চাকরি বানিজ্য ও নারী কেলেংকারীর মতো ভয়াবহ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে বলো জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে