নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর লুট করা অস্ত্র-গুলি জমা দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে দুটি শটগান, একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি জমা পড়েছে।
এছাড়া রায়পুরেও একটি শটগান ও একটি চাইনিজ রাইফেলসহ ৭৮ রাউন্ড গুলি ফেরত দিয়ে গেছেন দুজন ব্যক্তি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান এবং রায়পুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র -গুলি উপজেলা আনসার ও ভিডিপির হেফাজতে রয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধরা রামগঞ্জ থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় থানায় থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটে নেয় তারা। থানা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যায় পুলিশ। একইদিন রায়পুর থানাতেও অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গুলি লুটের ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ কর্মস্থলে না থাকায় থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। এতে থানায় কি পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, শুক্রবার সকালে থানার পুকুর থেকে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবারেও (৮ আগস্ট) একটি অস্ত্রসহ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখনো থানায় দায়িত্ব নেয়নি। আনসার ভিডিপি সদস্যরা থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো ফিরিয়ে দিতে উপজেলাব্যাপী আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত দুটি শটগান, একটি রাইফেল, একটি পিস্তল, রাইফেলের দুটি মাথা ও প্রায় দুইশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, লুট হওয়া একটি শটগান ও একটি চাইনিজ রাইফেলসহ ৭৮ রাউন্ড গুলি ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুজন ব্যক্তি অস্ত্রগুলো ফেরত দিয়ে যান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, থানায় এখনো আমাদের (পুলিশ) সবাই এসে পৌঁছায়নি। কি পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে সেটি বলা যাচ্ছে না। কয়টি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে আপাতত তাও বলতে পারছি না