নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর স্কুটি শিখতে আসা নারীদের পছন্দের নাম শাহেলা। প্রশিক্ষণার্থী নারীদের প্রথমেই দিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। এরপর স্কুটি চালানোর বিভিন্ন কৌশল দেখিয়ে দিচ্ছেন নিজ হাতে। পড়ে গেলে ফের দিচ্ছেন উঠে স্কুটি চালানোর সাহস। কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস সৃষ্ব শ্বাসের অমিয় বাণী; আপনিই পারবেন, হাল ছাড়বেন না!
আজ রবিবা (২৩জুন) ঘড়িতে সময় তখন দুপুর স বারোটা, শহরের আকাশজুড়ে ঝলমলে রোদের আবরণ। লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে চোখে পড়ে নারীদের স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণের দৃশ্য।
জানতে চাইলে স্কুটি প্রশিক্ষক শাহেলা জানান, আমি একটা প্রাইভেট জব করি, বাড়ি থেকে অফিস দূরে হওয়ায় সিএনজিতে আমাকে যাতায়াত করতে হয়। গাড়িতে চলাচলের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশে বসলে কিংবা গাড়িতে-ই অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি দৃষ্টি গোচর হয়। সেজন্য-ই আমি স্কুটি চালানো শিখি এবং এর মাধ্যমে-ই আমি বিভিন্ন জায়গায় আসা যাওয়া করি।
শাহেলা আরো জানান, স্কুটি শেখার পর আমি বিভিন্ন আপুর সাড়া পাই ফেসবুকের মাধ্যমে। গত দুই মাস থেকে একজন প্রশিক্ষক হিসেবেও আমি কাজ করছি। আমার কাছে ভালো-ই লাগছে।
আমি স্কুটি শেখানোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। নামমাত্র কোর্স ফি নিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলছি নারীদের।
নারীদের আত্মবিশ্বাসী ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুই মাসে দশজন নারীকে স্কুটি চালানো শিখিয়েছেন শাহেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, একজন শিক্ষিকা স্কুটি চালানো শিখছেন । স্কুটির পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্নরকম দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন শাহেলা।
ঐ প্রশিক্ষণার্থী জানান, আমি আমার কলিগদের দেখি স্কুটি চালিয়ে স্কুলে আসেন। নিউজফিড স্ক্রল করতে-করতে এই আপুর খোঁজ পাই।
এরপর শিখতে আসি। শিখতে এসেও প্রথমে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ি, ভাবছি হাল ছেড়ে দিবো। কিন্তু আপুর জোগানো সাহসে এখন মনে হচ্ছে আমি পারবো।
শাহেলা অদম্য ইচ্ছা-শক্তি নিয়ে মে মাস থেকে নিজের চাকুরির পাশাপাশি জেলা স্টেডিয়ামে সপ্তাহে দুই-তিন দিন স্কুটি চালানো শেখান। তিনি শুরু থেকে পুরোপুরি পাকাপোক্ত হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণার্থীদের শিখিয়ে থাকেন।