নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে নুর নবী নামে এক কুয়েত প্রবাসীর বসতঘর ও একটি ফলের গোডাউন আগুনে পুড়ে চাই হয়েছে। এতে কোরবানীর গরু ক্রয়ের জন্য প্রবাসীর ঘরে গচ্ছিত রাখা নগদ দেড় লক্ষ টাকা সহ ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতির দাবী ওই প্রবাসীর স্ত্রী শাহিনুর বেগমের।
সোমবার (১০ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে শহরের মেহেরখা সড়কের ওয়াজ উদ্দিন ছৈয়াল বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিযে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩ টার দিকে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তে আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই প্রবাসীর বসতঘরসহ একটি ফলের গোডাউন ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা খবর দিলে প্রথমে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। তবে এর মধ্যে আগুনের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।
পরে রায়পুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরো ইউনিট এনে মোট ৫টি ইউনিট ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে আগুরে পুরে যায় প্রবাসীর ঘরে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকারসহ আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় মালামাল।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫টি ইউনিট ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্তণে আনে। তবে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীর স্ত্রী শাহিনুর বেগম বলেন, কোরানীর গরু ক্রয়ের জন্য তার স্বামী দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলো। আগুনে সে টাকাসহ ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে চাই হয়ে গেছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও নেই সব পুড়ে চাই।
এদিকে পরিদর্শণ কালে পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া জানান, আগুনে পুড়ে প্রবাসীর পাঠানো কোরবানীর খরচের দেড় লক্ষ টাকাসহ ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও শেষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শান্তনা দেয়া হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তকে একটি ঘর করে দেযার আশ্বাস দেন মেয়র।