নিজস্ব প্রতিদিন :
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জে) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস) এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন ” ৭টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপির পিএস এলজিইডির কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দের লোভ দেখিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ওই প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন। এছাড়া নির্বাচনকালীন এলাকায় এমপিদের উপস্থিত থাকা নিয়ে বিধিনিষেধ থাকলেও আনোয়ার খান তা মানতে ‘নারাজ’। শনিবারের পর তার মালিকানাধীন আনোয়ার খান ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল উদ্বোধন করতে ৩ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় আসার কথা রয়েছে। মূলত মোটরসাইকেলের প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে নির্বাচনী কাজ পরিচালনা করতেই আসবেন তিনি।
দলীয় নির্দেশনা ও নির্বাচনী আচরণবিধি না মেনে আনোয়ার খান এমপি ১৪ এপ্রিল রাতে রামগঞ্জের ডাকবাংলোতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। টানা ৭ ঘণ্টা চলে ওই বৈঠক। সেখানে ৩ কোটি টাকা খরচ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় দেলোয়ার হোসেন দেওয়ানকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়।
ইমতিয়াজের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এমপি আনোয়ার খান নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে বাচ্চুর ভোট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি এমপি এলজিইডির কাবিটা প্রকেল্পের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। ওই বরাদ্দের লোভ দেখিয়ে এমপি তার পিএস রফিককে দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে কল করে বাচ্চুর পক্ষে ভোট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন