রায়পুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১ মে) রাতে রায়পুর থানায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত রাকিবসহ তার মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরীকে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল এবং আদালতে হাজির করবেন পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানাযায়, কিশোরীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তার অসহায় মা মানুষের বাসায় গৃহকর্মী এবং বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। কিশোরী শহরের টিসি সড়কের স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে রং মেস্ত্রী রাকিব হোসেন (২৫) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।
রবিবার (২১ এপ্রিল) শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রামে বড় বোনের শশুর বাড়ীতে যাওয়ার পথে শহরের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাকিবসহ অজ্ঞত আরও ২ জন কিশোরীর মুখে কাপড় চেপে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হায়দরগন্জ বাজার হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চ ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে আটক করে ওই দিন কিশোরীকে রাবিক কয়েকবার ধর্ষণ করেছে।
ওই রাতে রাকিব কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু রাকিবের মা ও বাবা তাদের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রাকিব তাঁদের বাড়ীতে কিশোরীকে রেখেই পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে কিশোরীর পরিবারকে তাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে সময় কালেক্ষেপন করায় বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করা হয়।।
কিশোরীর মা জানান, আমার অবুঝ কিশোরী মেয়ের সর্বনাশ করেছে বখাটে রাকিব। আমি সমাজের মানুষের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করেছি। আমি উপযুক্ত বিচার চাই।।
এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে তার বাবা মিছির আলী ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করেন।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, বুধবার রাতে (১ মে) ধর্ষণ আইনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার জবানবন্দি নিতে লক্ষ্মীপুর বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর।