নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ৭ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাবার করা মামলায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন শিপন (১৯) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী শুভ (২০)।
গ্রেফতার হওয়া যুবক শিপন উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও শুভ একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। ভূক্তভোগী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, মোবাইলফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিপনের পরিচয় হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে শিপন তাকে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরপোড়াগাছা গ্রামের প্রফেসর আজাদের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় শিপন। বিয়ের আশ্বাসে সেখানে রাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন। রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে সেখান থেকে পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে শিপন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। তখন শুভ পাহারায় ছিলেন।
এদিকে ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শিপন ও তার সহকারী শুভ পালিয়ে যায়।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরদিন ছাত্রীর বাবা বাদী হয় শিপন ও শুভর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।