নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া ঈদ উপহারের সেমাই-চিনি ও জামা-কাপড় ফেরত পাঠানোর পর গৃহবধূ তাসনুর আক্তার মুন্নির (১৯) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে মুন্নির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুন্নি নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
প্রায় দেড় বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নলডগী গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে গাছ ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে মুন্নির বিয়ে হয় বলে পরিবার সূত্র জানায়।
তাদের সংসারে রিয়া মনি নামে ১ মাস ৫ দিন বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ঈদসহ বিভিন্ন সময় মুন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে উপহারের জন্য চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে সাধ্যমতো মুন্নির বাবার বাড়ি থেকে উপহার আসতো।
এবারও ঈদ উপলক্ষে সেমাই-চিনিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও স্বামী-শ্বশুরের জন্য নতুন জামা-কাপড় যথাসময়ে পাঠানো হয়।
কিন্তু সেমাই-চিনি ও জামা কাপড় কম হওয়ার অভিযোগে বুধবার তা ফেরত পাঠান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের কাছে খবর যায় মুন্নি আত্মহত্যা করেছে।
নিহত মুন্নির ফুফাতো ভাই লুৎফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় উপহারের জন্য মুন্নিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিতো। বিয়ের পর থেকেই একই অবস্থা। এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন জামাকাপড়, সেমাই-চিনিসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়। কিন্তু পরিমাণে কম বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা ফেরত পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে এনিয়ে মুন্নিকে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ মুন্নির স্বামী-শ্বশুরসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তখন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।