নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যন্ত্রদানব মাটি-বালিবাহী ডাম্পার, পিকআপ ও ট্রাক। রাত-দিন বেপরোয়া গতিতে সড়কে রাজত্ব করছে এসব ট্রাক। এর প্রভাব পড়ছে জনপদের সড়কগুলোতেও।
বালিবোঝাই ট্রাকের ওপরে কোনো তেরপল বা কাপড়ের ঢাকনি না থাকায় বাতাসে মাটি-বালি উড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। যা রাস্তায় কয়েক ইঞ্চি ধুলার আস্তরণে বালিময় হয়ে সাধারন মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। চোখে বালু ডুকে বড়ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছে পথচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী ছাত্র-ছাত্রীরা, বাড়ছে বায়ুদূষণ।
মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের জন্য কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের রাতগুলো বাণিজ্যবান্ধব। কিন্তু সুকনো মৌসুমটি কাজে লাগিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। প্রশাসনের সামনে দিয়ে দিনরাত মেঘনা নদী, বিভিন্ন ছড়া খাল, কৃষিজমি হতে অবৈধভাবে বালি-মাটি লুট করে রাতের আঁধারে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে গ্রামীণ সড়কে বালি মাটি ভর্তি ট্রাকের বেপরোয়া চলাচল। মাটিভর্তি ট্রাকে করে কৃষিজমির উর্বর মাটি (টপসয়েল) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে কৃষিজমির উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
বালি ও মাটি পরিবহনে নিয়োজিত বিদ্যুৎ গতির বেপরোয়া পিকআপ, ১০ চাকার ডাম্পার ও ট্রাকগুলো স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের চরম অসুবিধা ও ঝুঁকির কারণগুলো বিবেচনা করচেনা কেউ। ধুলোবালির কারণে শিক্ষার্থীরা হাঁচি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ছাড়া ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সড়কের পাশের দোকানিরা। জিনিসপত্র পরিষ্কার করে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যে তা ধুলোতে লাল হয়ে যায়। অনেকে ধূলোবালি থেকে পরিত্রাণ পেতে রাস্তায় পানি ছিটানোর পরও নিস্তার পাচ্ছেন না।
বালুবাহী এসব যানবাহনের ফিটনেস নেই। চালকের লাইসেন্সও নেই। অদক্ষ চালকরা বেপরোয়াভাবে বালুবাহী ডাম্পার-ট্রাক-পিকআপ চালানোয় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। গাড়িগুলোতে নাম্বার না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেলে তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায় না।
এ ব্যপারে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকর্মীরা সরব হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে আদৌ কোন প্রতিকার হচ্ছেনা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সমস্যাটির।