নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাড়ির সিমানার এক হাত জমির বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইটের আঘাতে তারেক নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
নিহত তারেক উপজেলা পৌর ৫নং ওয়ার্ডের মধুপুর এলাকার আনার আলি ব্যাপারী বাড়ির মো: আমির হোসেন ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৪এপ্রিল) রাত ১১ টার সময় ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয।
এর আগে গত মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, পৌর মধুপুর এলাকার আনার আলি ব্যাপারী বাড়ির মো: আমির হোসেন পরিবারের সাথে মোঃ সহিদদের পরিবারের পূর্ব থেকে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র ঘটনার দিন (২২ মার্চ) ওই সম্পত্তি দেখতে গেলে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে অভিযুক্ত শহিদ দা, চেনী, লাঠি, ইট, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারেকের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এক একপর্যায়ে সহিদ তার বাড়ির ছাঁদে উঠে ছাঁদ থেকে তারেকের মাথায় ইট নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরবর্তীতে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকেও তাকে ঢাকায় প্রেরন করেন চিকিৎসকরা। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ( ০২ এপ্রিল) তারেকের মৃত্যু হয় ।
নিহত তারেকের মা ফাতেমা বেগম বলেন, সহিদের সঙ্গে আমাদের বাড়ির একটি জমির সিমানার এক একহাত জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে শুক্রবার দুপুরে সহিদ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অর্তিক হামলা করে। এতে আমি, আমার স্বামী (আমির হোসেন) আমার মেয়ে (তানিয়া আক্তার) ও আমার ছেলেকে ( মো: তারেক) পিটিয়ে আহত করে।
এক একপর্যায়ে সহিদ তার বাড়ির ছাঁদে উঠে ছাঁদ থেকে আমার বড় ছেলে তারেকের মাথা ইট নিক্ষেপ করে। এতে তারেক গুরুতর জখম হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থা আমার ছেলের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই, সহিদের ফাঁসি চাই ।
তারেকের ছোট বোন তানিয়া আক্তার জানান, আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি থানা আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। পুলিশ তাদের এখনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অন্যদিকে তারেকের মৃত্যুর খবর শুনে অভিযুক্ত সহিদ বাড়িতে তালা দিয়ে পরিবার সহ ঘটনার দিনই পালিয়ে যান। এতে অভিযুক্ত সহিদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, এঘটনায় কেউ কোনো লিখত অভিযোগ করেনি, তবে শুনেছি ইতিমধ্যে লাশ ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে, রিপোর্ট ফেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।