নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কটি চার লেন করার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় প্রস্তাব দিয়েছেন সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম ফারুক পিংকু।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পর্যন্ত এ সড়ক। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি চার লেন করার জন্য চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ মার্চ) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপির কাছে এ চাহিদাপত্র জমা দেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা জাতীয় সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে সভায় অংশ নেন। বিকেলে পিংকু গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কুমিল্লা-১১ আসনের এমপি মজিবুল হক, কুমিল্লা-৩ আসনের এমপি জাহাঙ্গীর আলম হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির, খুলনা-২ আসনের এমপি সেখ সালাহউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মজিবুর রহমানসহ অনেকে।
এমপি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘আমি লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কের গুরুত্ব তুলে ধরেছি। প্রথম পর্যায়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার জন্য চাহিদাপত্র জমা দিয়েছি। আশা করি এ অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়নে মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
মেঘনা নদী হয়ে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগমাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাট থেকে শহরের বাসটার্মিনাল পর্যন্ত বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়। এ রুটের যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করছেন।
কিন্তু বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্ত নয়। এছাড়া শরীয়তপুর থেকে হরিণা ফেরিঘাট হয়ে বেশিরভাগ যানবাহন এবং যাত্রীরা রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কটি ব্যবহার করেন। রাস্তাটি প্রশস্ত না হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কটি ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে। এতে এ সড়কটি প্রশস্তকরণ খুবই জরুরি। সড়কটি প্রশস্ত করা হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটার পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা কমবে।