নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলা করণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অবগত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নোট নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংক।বৃহস্পতিবার (৭ই মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকন কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে সকল ১০টায় একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পিংকু বলেন, জেলার পূর্বাঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ ছিলো সন্ত্রাসের জনপথ। আগ্নেয়াস্ত্রের সরবরাহ, ঘুম-খুন ছিলো নিত্যদিনের খবর। আইণশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান পুলিশ সুপারও বিভিন্ন অযুহাতে থাকতে চাইতেন না।
সেই সন্ত্রাসী জনপদকে আজকে নিরাপদ জনপথে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর্যায় ক্রমে থানা রূপান্তরিত হয়েছে।
জেলায় ৫ টি উপজেলা রয়েছে। চন্দ্রগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তর করা হলে জেলার গ্রেড পরিবর্তন হয়ে উন্নয়ন ঘটবে।
পিংকু বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ঘুরে দেখলা। সদর আসনে অধিকাংশ স্থানে রাস্তাঘাট নেই। জনগনকে কথা দিয়েছি। তাই খেয়ে না খেয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তাছাড়া জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, রেললাইন স্থাপনের জন্য পর্যায় ক্রমে কাজ করা হবে।
৭ মার্চ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সকল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো উল্লেখ করে এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই দিনের ভাষণের ফলে বাঙালি জাতি দেশ স্বাধীনের সংকল্পবদ্ধ বদ্ধ হয়। যা পরবর্তীতে জাতিসংঘ ইউনেস্কোর স্বকৃীতি লাভ করে। বঙ্গবন্ধু দেয়া সে ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ স্বাধীনতা এনে দিলেও তাঁকে বাঁচতে দেয়নি দেশ বিরোধী অপশক্তি। স্বপরিবারে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। সেদিন বঙ্গবন্ধু দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেলজিয়ামের রাজধানী শহরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে না থাকলে আওয়ামীলীগ সরকার তথা মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষ ক্ষমতায় আসতে পারতো না।
দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চমবারের মত জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। তাই দেশকে আরো এগিয়ে নিতে তথা প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালি করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এতে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-(২) রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান, নির্বাহী রেজাই আরফিন সরকার, সিভিল সার্জন আহম্মেদ ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমসহ প্রমুখ। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন দৈনিক লক্ষ্মীপুর পত্রিকার সম্পাদক জাকির হোসেন ভূইয়া আজাদ।