নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতের পাঁচ দিন পর অভিমান করে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ইসরাত জাহান সামিয়া (১৪) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়ির মোহাম্মদ ওয়াসিমের মেয়ে এবং স্থানীয় চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পপএর আগে, একই দিন দুপুর ১২টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক নাজিম উদ্দিন ক্লাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ভালোবাসতে হলে প্রথমে মা-বাবাকে ভালোবাসবে, অন্য কাউকে ভালোবাসবেনা। এমন বক্তব্য দিয়ে শিক্ষক ক্লাস থেকে চলে যায়। এরপর ক্লাসে সামিয়া নাকি মন্তব্য করেন অন্য কাউকে ভালোবাসলে অসুবিধা কি। তাৎক্ষণিক অন্য দুজন ছাত্রী গিয়ে স্যারকে সামিয়ার মন্তব্যের বিষয়ে অবহিত করে। পরবর্তীতে শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ওই ছাত্রীকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন। পরবর্তীতে সোমবার সকালে সামিয়া তার মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে চায়। তার মা অসুস্থ থাকায় যেতে পারেনি। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সামিয়া।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।