নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব জোবায়ের হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তবে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। অপর অভিযুক্ত শাহাদাত একই এলাকার সাহাউদ্দিনের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহনুর আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। খুব শিগগির তাদের গ্রেফতার করা হবে।
এরআগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের ও শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করে রামগতি থানায় মামলা করেন।
এজাহার সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে ওই নারীর এক রিকশাচালকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে ২০ জানুয়ারি দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন।
পথে চর সেকান্দর গ্রামের মৌলভী বাজারের সামনে সুফিরহাট-বাংলাবাজার পাকা রাস্তায় পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা। শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পেছনের কক্ষে নিয়ে যান। পরে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত শাহাদাত বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
লক্ষীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থেকে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। ঘটনাটি নিয়ে দলীয় তদন্ত কমটি গঠন করা হবে। অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।